bd news | কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে, দাবি মার্কিন গবেষকদের

কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে, দাবি মার্কিন গবেষকদের

bangla news,latest bangla news,west bengal,news,current news in bengali,bengali news,bengal news,bengali news live,today bengali news,bangla tv news,bangla news 24,google news,bangla news live,bangla news today,coronavirus news,bd news,news live,mytvbd news,english news,west bengal lockdown,top english news,bangla live news,breaking news in bengali,etv bangla news,latest english news,abp live news,live news

latest bangla news বিশ্ব জুড়ে করোনা ত্রাসের মধ্যেই প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে দাবি করলেন একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে ইঁদুরের দেহে। পাওয়া গিয়েছে সাফল্য।

পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের দাবি, আঙুলের ডগার মাপে বা একটা ছোট্ট ব্যান্ডেডের মাপে ত্বকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োদ করলে সুফল পাওয়া যাবে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, তাঁরা খুব দ্রুত সাফল্য পেয়েছেন কারণ দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা সার্স (সিরিয়াস অ্যাকুউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) এবং মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম)-এর প্রতিষেধক তৈরির জন্য গবেষণা চালাচ্ছিলেন। পিট স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক আন্দ্রিয়া গ্যামবোটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘সার্স এবং মার্স ভাইরাস চরিত্রগত দিক থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের খুব কাছাকাছি। ওই দু’টি ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি স্পাইক নামে একটি প্রোটিনের কথা। ওই প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।” তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, ঠিক কোন জায়গায় আঘাত হানতে হবে।” একটি নামী মেডিক্যাল জার্নালে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণার কথা।
সেখানে বলা হয়েছে, সাধারণ ফ্লুয়ের প্রতিষেধক তৈরি করতে যে চিরাচরিত পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়, সেই পদ্ধতিতেই এগনো হয়েছে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে। সাধারণ ফ্লুয়ের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে গবেষণাগারে তৈরি প্রোটিনের ব্যাবহার করা হয়। সেই প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভাইরাসকে লড়াইয়ে পরাস্ত করে।
গবেষকদের দাবি, তাঁরা ইঁদুরের উপর ওই প্রোটিন প্রয়োগ করে দেখেছেন। দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রোটিন ইঁদুরের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। গবেষকদের আশা, আরও কিছু দিনের মধ্যেই মানব দেহে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে পারবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই গবেষকরা অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছেন ইউনাইটেড স্টেট ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে।
 গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চিরাচরিত প্রথায় সূচ দিয়ে ওই প্রতিষেধক মানুষের শরীরে প্রয়োগের বদলে তাঁরা ত্বকের মধ্যে দিয়ে ওই প্রতিষেধক পৌঁছে দেবেন শরীরে। শর্করা এবং প্রোটিনের ৪০০টি মাইক্রো নিডল্‌ বা অতি সূক্ষ্ম সূচ দিয়ে তৈরি হবে ব্যান্ডেডের আকৃতির পট্টি। সেটি ত্বকে লাগানো মাত্র ওই মাইক্রো নিডলের মধ্যে দিয়ে শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়ানোর স্পাইক প্রোটিন শরীরে ঢুকবে। শর্করা এবং প্রোটিনে তৈরি অতি সূক্ষ্ম সূঁচ নিজে নিজেই মিশে যাবে শরীরে।
গবেষকদের দাবি, জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ থেকে তাঁরা এই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করেন। খুব দ্রুত তাঁরা সাফল্য পেয়েছেন। এই প্রতিষেধক নিতে বিন্দুমাত্র ব্যথা লাগবে না বলেও দাবি গবেষকদের। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মানব দেহে এই প্রতিষেধক সাফল্য পেলেও প্রায় এক বছর সময় লাগবে বাজারে আসতে। তবে গবেষকদের আশা, মার্কিন সরকার দ্রুত সবুজ সঙ্কেত দিলে আরও আগে ওই প্রতিষেধক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণছবিভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকাকোন দিনকোন সময়ের ঘটনাতা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।) current news in bengali

সংবাদটি শেয়ার করুন

Post a Comment

0 Comments